বরিশাল প্রতিনিধি।।
সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ সংলগ্ন বগাদী এলাকার নদীতে যাত্রীবাহী স্টিমারের ধাক্কায় একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনার পর ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের মাষ্টারসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে নৌ-পুলিশ।
এরা হলো বাল্কহেড মোহাম্মাদিয়া-৫ এর মাষ্টার বরগুনার আমতলী উপজেলার ঝাড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম ফরাজী (৩৮), স্টাফ ও একই এলাকার আবদুল মজিদের পুত্র রাসেল রাঢ়ী (২৬), আসলাম রাঢ়ী (২০) শহীদ রাঢ়ীর পুত্র আলী রাঢ়ী (২৩) ও আমতলীর শিকারী পাড়ার বাসিন্দা আবদুল আজিজ ফকিরের পুত্র মালেক ফকির (৩৬)। তবে এ ঘটনায় স্টিমারের কোন যাত্রী হতাহত ঘটনা ঘটেনি।
আহত রাসেল রাঢ়ী বলেন, স্টিমার ও বাল্কহেড একইদিকে চলছিলো। হঠাৎ করে বাল্কহেডের মাঝ বরাবর স্বজোরে স্টিমারটি ধাক্কা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীর পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে। এ সময় জীবন বাঁচাতে বাল্কহেডে থাকা মাস্টার, চালকসহ অন্যান্যরা নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে অন্য নৌ-যানের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হলেও বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
স্টিমারের স্টাফ মিজানুর রহমান জানান, ধাক্কা লাগার পরপরই স্টীমারের ডান পাশের একটি অংশ ফেঁটে যায়। তাৎক্ষনিক মাষ্টার স্টিমারটি নদী তীরে নিয়ে গেলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় যাত্রীরা। পরে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন কোম্পানীর একটি লঞ্চে স্টিমারের যাত্রীদের উঠিয়ে দেয়া হয়।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি শেখ বেলাল হোসেন জানান, স্টিমার পিএস টার্ন মোড়লগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ সংলগ্ন বগাদী এলাকার কীর্তনখোলা নদীতে পৌঁছলে মোহাম্মাদিয়া-৫ নামের বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে যাত্রীবাহি স্টিমারের ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। পাশাপাশি স্টিমারটির সামনের অংশের তলা ফেঁটে পানি ঢুকতে শুরু করলে সেটিকে পার্শ্ববর্তী একটি চরে নোঙর করে রাখা হয়।