কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
রাত পোহালেই ভোট উৎসবের আমেজে পটুয়াখালী-৪ আসনের ভোটাররা। আওয়ামীলীগের উন্নয়নের শ্লোগানের পাশাপাশি ভবিষত উন্নয়ন পরিকল্পনা ভোটারদের ডোর টু ডোর পৌছে দিতে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালালেও বিএনপি প্রার্থীর মাইকিং ও কয়েকটি উঠান বৈঠক ছাড়া কোন প্রচারণা ছিলো না। সাথে ছিল দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক।
পটুয়াখালী-৪ আসনে এবার ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরা হলেন মো. মহিব্বুর রহমান (আ’লীগ), এবিএম মোশাররফ হোসেন (বিএনপি),আনোয়ার হাওলাদার (জাপা), জহিরুল আলম (বাসদ), হাবিবুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ) ও আব্দুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী ঐক্যজোট)। এ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৪৯ হাজার ৪৬ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৭৮৯ এবং নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৫৭ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে আ’লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। তিঁনি নির্বাচিত হলে কলাপাড়াকে জেলা, মহিপুর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা ছাড়াও গুরত্বপুর্ণ স্পটে সার্বক্ষণিক উম্মুক্ত ওয়াইফাই জোন,ইউনিয়ন ভিত্তিক শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি, যোগাযোগ, হাট-বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের অঙ্গীকার এবং মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেণ। এছাড়াও সালিশ বাণিজ্য বন্ধসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করার পরিকল্পনার কথা ৩৮ পৃষ্ঠার ইশতেহারে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ ইশতেহারের নামকরন করেছেন ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী-মহিপুর’।
এদিকে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা ছিল ঢিমেতালে। বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মিছিল সভা ছিল অনেকটা অফিস নির্ভর। নেতাকর্মী গ্রেফতার আতংকে থাকায় বেশিরভাগ ইউনিয়নেই কোন নির্বাচনী উঠান বৈঠক ছিলো না। ছিলোনা ডোর টু ডোর প্রচারণা,সভা। বিএনপি প্রার্থীর দাবি,তাঁদের প্রচারণা করতে দেয়া হচ্ছে না। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল কলাপাড়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছামতো সাজিয়েছেন। এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যাতে আরও গতিশীল হয় এজন্য প্রধানমন্ত্রীূ তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এ আসনে নৌকা জিতলে প্রধানমন্ত্রী জিতবেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আঃ রশিদ জানান, পটুয়াখালী-৪ আসনে কলাপাড়া উপজেলায় ৭৪টি এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৩৬ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহন সম্পন্ন করতে তারা কাজ করছেন বলে জানান।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কলাপাড়া থানার ৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামী। মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, মহিপুর থানার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
|